ডিপ্রেশন কি এবং এর থেকে মুক্তির উপায় কি


ডিপ্রেশন কি?

বিষণ্ণতা বা Depression হলো একটি মানসিক ব্যাধি। যেকোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের মন খারাপ করে দেয়। কিন্তু এই মন খারাপের মাত্রা কিংবা তার স্থায়িত্ব যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখনই সেটাকে ডিপ্রেশন বলে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অতীতের অনেক না পাওয়া বা হেরে যাওয়ার ঘটনাগুলোই আমাদের বিষণ্ণতার জন্য অনেকাংশেই দায়ী এই নিত্যদিনকার সমস্যাগুলো অনেকেই কাটিয়ে উঠতে পারেনা। যার প্রভাব পড়ে তাদের দৈনন্দিন জীবনে। হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় অনেকে। কিন্তু এতেই কি সব শেষ? কোন উপায় নেই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার? অবশ্যই আছে। আরেকবার হোঁচট খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাঁটা শিখতে হবে। 

ডিপ্রেশনের পরিসংখ্যান-

প্রতিযোগিতার ইঁদুরের মতো দৌড়ের তাল মেলাতে গিয়ে আমরা সবাই-ই হাঁফিয়ে উঠি একটা সময় পর। আমাদের পারিপার্শ্বিক সমাজ যতই আধুনিক হবে, প্রতিযোগিতাও ততই বাড়বে এবং পাল্লা দিয়ে বাড়বে আমাদের মানসিক সমস্যাগুলিও। পরিসংখ্যানটা শুনলে হয়ত অবাক হতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ এর পর থেকে ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা নামক মানসিক ব্যাধিটি মহামারির আকার ধারণ করেছে। ২০১৯ থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারীর জন্য এই সময়ে ডিপ্রেশনের হার প্রচন্ড রকমের বেড়ে গিয়েছে। এর মূল কারন, করোনায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়া, অনেকের চাকুরী হারানো কিংবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রিয়জন হারানো। 

কত ধরনের ডিপ্রেশন রয়েছে?

ডিপ্রেশন সাধারণত দু’ধরনের।
  • এক্সোজেনাসঃ সাধারণত কোনও ঘটনা বা ট্রমাঘটিত কারণে এই অবসাদ বা ডিপ্রেশন ঘটে থাকে। প্রাত্যহিক জীবনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা কিংবা অতীতে ঘটা কোন ঘটনার ফলশ্রুতিতে মানুষ যে অবসাদে আক্রান্ত হয় তাই হলো এক্সোজেনাস ডিপ্রেশন।
  • এন্ডোজেনাসঃ এই অবসাদের নির্দিষ্ট কারণ নেই, এই অবসাদে আক্রান্ত রোগী নিজেও বুঝতে পারেন না এই অবসাদ কেন হচ্ছে। চারপাশে তাকালে কিংবা কাছের কোন মানুষকে মাঝে মাঝে দেখবেন তারা খুব ডিপ্রেসড হয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলে তাদের উত্তর একটাই হয়, "জানিনা..."। অর্থাৎ তারা এন্ডোজেনাস ডিপ্রেশনে ভুগছে।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় কি?

বাহিরের যত চিকিৎসা বা পরামর্শই নেওয়া হোক নিজে থেকে সর্বাত্মক চেষ্টাই বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার প্রাথমিক উপায়। কাজেই অতীত ভুলে আবার নতুন করে শুরু করুন। 
কিন্তু কিভাবে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন? আপনার জন্য এ বিষয়ে কিছু কার্যকরী উপায় দেয়া হলো।

➤পরিস্থিতি মেনে নেয়া

যা হবার তা হবেই। একে আপনি কোন ভাবেই বদলাতে পারবেন না। কাজেই মেনে নেওয়াই উত্তম। কোন ধরনের পরিস্থিতিই বদলানো আপনার একার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি 
চাইলেই নিজেকে বদলাতে । নিজেকে বোঝাতে হবে,  "যা হয়েছে তা হয়ে গেছেই। আমি যেহেতু সেসব বদলাতে পারবো না, সুতরাং এখন থেকে আমি নিজেই নিজেকে বদলিয়ে নেবো"। আপনার বর্তমান যা আছে তা নিয়েই বাঁচতে শিখুন। হতে পারে অকারণে অতীতকে আঁকড়ে ধরে রেখে নিজেই নিজের অজান্তে সুন্দর একটা ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলছেন।
“When you have a dream, you’ve got to grab it and never let go.”
— Carol Burnett

➤অতীত মুছে ফেলা

কথায় আছে ‘Out of sight, out of mind.’। যে সমস্ত বিষয় আপনাকে অতীত নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। সেটা হতে পারে কোন মানুষ যেমন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন, অথবা হতে পারে কোনও ছবি বা উপহার কিংবা বিশেষ কোন ঘটনা বা মুহূর্ত। সুতরাং যে সব বিষয় জোর করে আপনাকে অতীত নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে, সেসব বিষয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন
“Nothing is impossible. The word itself says ‘I’m possible!”
— Audrey Hepburn

➤প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব

অতীত তো হারিয়েই গেছে সময়ের স্রোতে, সুতরাং বিগত ঘটনা নিয়ে অযথা ভেবে ভেবে আদৌ কোনও লাভ আছে কি? সিদ্ধান্ত নিন, অতীত ভেবে কষ্ট পাবেন নাকি ভবিষ্যতে কীভাবে ভাল থাকবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই। 

➤লক্ষ্য হোক বাস্তববাদী

মানসিক ব্যাধি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিজেকে সবসময়ই যে কোন কাজে ব্যস্ত রাখা। এর জন্য হালকা ধরনের, সহজ ও ছোট-খাট এবং বিশেষ করে এক বা দুই দিনের এসব ছোট্ট লক্ষ্য আমাদের দারুন সাহায্য করতে পারে। কারণ, কাজে ব্যস্ত থাকলে আমরা নিজেদের অপ্রয়োজনীয় সমস্যার দিকে মনোযোগ কম দিতে পারব। আমাদের কি কারণে মন খারাপ বা ভাল এটা বোঝার জন্যেও সময় দরকার। সেই সময়টা যদি আমরা নিজেদেকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখি তাহলে এটি আমাদের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
“Keep yourself busy if you want to avoid depression. For me, inactivity is the enemy.” 
—Matt Lucas

➤কয়েনের দুটি পিঠ

সবসময় জীবনের খারাপ দিকগুলো না দেখে জীবনের ভাল দিকগুলোও দেখুন। ভাবুন যে ঘটনার কথা ভেবে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন তা না ঘটলে আর কোন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কাজেই নিজেকে বোঝান যা হয়েছে তা ভালোর জন্যই হয়েছে। শুধু খারাপ নয়, আপনার চারপাশে ভাল থাকারও উপাদানও রয়েছে প্রচুর। এবার শুধু খুঁজতে শুরু করুন সেগুলো।
“Keep your face always toward the sunshine, and shadows will fall behind you.”
— Walt Whitman

➤ইতিবাচকতা খোঁজা

ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার প্রথম বিষয়টিই হচ্ছে  সব কিছুর খারাপ দিক চিন্তা করা অর্থাৎ নেতিবাচকতা খোঁজা। হয়তো বা, আমরা জানি যে এই কাজটি আমরা করতে পারব কিন্তু তারপরও শুধুমাত্র বিষণ্ণতার কারণে আমরা তার খারাপ দিকগুলো ভাবতে শুরু করি।
এক্ষেত্রে যা করা উচিত তা হল- যত বাধাই থাকুক না কেন, যত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনাই আসুক না কেন, আমাদেরকে সবার আগে নিজেদের মধ্যে ইতিবাচকতার আলো জ্বালাতে হবে। নিজের মধ্যে থেকেই ইতিবাচকতা খুঁজে বের করতে হবে। “এই কাজ শুধুমাত্র আমি ছাড়া আর কেউই করতে পারবে না।”– এই ধরনের ইতিবাচকতা আমাদের নিজেদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। একমাত্র তখনই ভেতরের নেতিবাচকতাকে দূর করা সম্ভব।
“Sometimes your joy is the source of your smile, but sometimes your smile can be the source of your joy.” 
— Thich Nhat Hanh

➤খাবার হোক সুস্বাস্থ্যকর

হাভার্ড মেডিকেল কলেজের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি সুস্বাস্থ্যকর ডায়েট ডিপ্রেশন থেকে উত্তরণে বা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটাও বলা হয়েছে যে  কিছু কিছু ময়দার আটা জাতীয় খাবার ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
এজন্য বিষণ্ণতা দূরীকরণে আমাদের উচিত দৈনন্দিন খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়া। ভিটামিন B, C, D এবং আয়রনযুক্ত খাবার শরীর ও মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমরা নিয়মিত শাক-সবজি, ফলমূল বা ফলের জুস খেতে পারি। সেই সাথে পরিমাণ মতো পানিও পান করতে হবে। ক্যাফেইন এবং মদ জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

➤পছন্দের কাজে মনোনিবেশ

বিষণ্ণতা পেলে আমাদের অপছন্দের বা কঠিন কাজ করতে ইচ্ছা করে না। স্বাভাবিকভাবেই সেই সব কাজে আমাদের মন বসতে চায় না। সেই জন্য এরকম সময়ে আমাদের সেই সব কাজ গুলো করা উচিত যা আমাদের আনন্দ দেয়, তখন কঠিন কাজ হলেও করতে ভাল লাগে।
পুরানো সেই সব কাজ যা একসময় খুব করা হত এবং ভালোও লাগতো করতে কিন্তু এখন করা হয় না সেসব কাজও আমরা করতে পারি। এই কাজগুলো হতে পারে যেমন- আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা, বই পড়া, রান্না করা, সিনেমা দেখা বা অন্য যে কোন কাজ যা আপনার ভালো লাগে সেসব কিছুই বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করবে
“You don’t always need a plan. Sometimes you just need to breathe, trust, let go and see what happens.”
— Mandy Hale

➤শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম

এ কথা আমরা সকলেই জানি যে আমাদের শরীর ও মন পরস্পরের সাথে সংযুক্ত। আমাদের মনকে ভাল রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি সুস্থ শরীর বজায় রেখে চলতে হবে। এজন্য আমাদের দরকার উপযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চামূলক কাজ করা।
কিছু শারীরিকভাবে নিঃসৃত হরমোন রয়েছে যেগুলো আমাদের মন ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে একটি হরমোন হলো 'এন্ডোরফিন'। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আমাদের দেহ থেকে এ হরমোন নিঃসৃত হয়। যা আমাদের মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য বিষণ্ণতা কমানোর জন্য নিয়মিত সাইকেল চালানো, ব্যায়াম, সাঁতার, হাঁটাহাঁটি-এসব করা যায়। এতে শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই বেশ ভালো থাকবে।
“Learning how to be still, to really be still and let life happen—that stillness becomes a radiance.”
— Morgan Freeman

➤প্রিয়জন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো

বিষন্নতায় একা থাকার চেয়ে বরং প্রিয় মানুষগুলো বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কিংবা এমন কারো সাথে সময় কাটানো উচিত যাদের সাথে কথা বলতে আমাদের ভালো লাগে বা আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি । আমাদের এমন অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকে যাদের সাথে কখনো মন খারাপ করে থাকা যায় না বরং সেখানে সব সময় হাসি-ঠাট্টা হয়। এমন বন্ধুমহলের সাথে সময় কাটালে তা আমাদের সময় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকি বিষণ্ণতার কারণ নিয়েও তাদের সাথে খোলাখুলি কথা বললে ভালো লাগতে পারে। আপনজনদের সাথে গল্প গুজব করাও মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট।

➤ধৈর্য ধারণ করুন

মানুষ যখন বিষণ্ণতায় থাকে তাদের মধ্যে তখন কাজ করে অস্থিরতা। যেকোন সমস্যায় তারা চায় তাৎক্ষণিক সমাধান। আর এই সমাধান না পেলে তারা আরো বেশি বিষণ্ণ হয়ে পড়ে।
এই সময় আমাদের সবচেয়ে বেশি যা করা দরকার তা হল ধৈর্য ধারণ। আমাদের মনে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে যে সব কিছুরই সমাধান রয়েছে এবং সব একসময় ঠিক হয়ে যাবেই। প্রতিটি কাজের মাঝেই আমাদের বিশ্বাস আর ধৈর্য ধারণ করে এগুতে হবে। আমাদের এতটুকু মাথায় রাখতেই হবে যে, বিষণ্ণতা একবারে যাবে না। ধীরে ধীরে মানসিক শান্তি আসবে। বিষণ্ণতা কমে যাবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- "সবুরে মেওয়া ফলে"।  বিজ্ঞানী আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, "পৃথিবীতে কোন কিছুই পরম নয়, এবং আমাদের সমস্যাগুলিও নয় "। অর্থাৎ সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। এই বিশ্বাসটুকু নিজের মাঝে তৈরি করেই এগিয়ে যান সময়ের স্রোতে। 
“Ring the bells that still can ring. Forget your perfect offering. There is a crack, a crack in everything. That’s how the light gets in.”
— Unknown

➤প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ

বর্তমানে তরুনসমাজ নিজেদের ভেতরকার বিষণ্ণতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে পছন্দ করে তা হলো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।
মানু্ষের মনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকেই চলমান রয়েছে। আবহাওয়ার সামান্য পরির্বতন মানুষের মনে যেভাবে পরিবর্তন এনে দেয় সেভাবে তা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে। চমৎকার কোন প্রাকৃতিক পরিবেশে গিয়ে মানু্ষ চায় সবকিছু কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। এভাবে প্রাকৃতিক জায়গায় ঘুরতে যাওয়াটাও বিষণ্ণতা কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
“A positive attitude gives you power over your circumstances instead of your circumstances having power over you.” 
— Joyce Meyer

➤প্রার্থনা

প্রত্যেকটি মানু্ষই বাঁচে আশার মাধ্যমে। এই আশা পূর্ণতা পায় বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তার প্রতি, ধর্মের প্রতি। সাধারণত মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগে তখন তাদের কাঙ্ক্ষিত কোন আশার বিঘ্ন ঘটে যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। এমন সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে নিজের বিশ্বাসকে শক্ত করার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভেতরে শক্তি খুঁজে পায়।
সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষণ্ণতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
“Once you choose hope, anything is possible.”
— Christopher Reeve

➤পরিশেষে

আপনার জীবন আপনার নিজেরই। যেকোন প্রকার পরিস্থিতি আপনার নিজেকেই ফেস করতে হবে। ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষরা যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খায়। এই সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন, এই সময়ের একটি সিদ্ধান্ত বদলে দিতে অয়ারে পুরো জীবন। অনেকে এই সময় টিকতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যা একেবারেই উচিত নয়। এই পৃথিবীতে জন্মালেন কি মরে হুটহাট সাময়িক সমস্যার জেরে মরে যাওয়ার জন্য?
আপনার মানসিক যেকোনও সমস্যা জটিল আকার ধারণ করার আগেই নিজেকে বাঁচান। ডিপ্রেশন একবার মাথাচাড়া দেয়ার আগেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সচেতনতার অভাবে আপনার ডিপ্রেশনটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। অনেকেই মনে করেন, মানসিক সমস্যায় চিকিৎকের পরামর্শ নেওয়া মানেই পাগল প্রমানিত হওয়া। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। কাজেই রোগটা জেঁকে বসার আগে, তাকে গোড়াতেই নির্মূল করুন।
পৃথিবীটা অনেক সুন্দর, বিশ্বাস করুন আসলেই অনেক সুন্দর। ছোট জিনিসগুলো থেকে আনন্দ খুঁজে নিন। বেঁচে থাকবেন দীর্ঘদিন।
“You can be everything. You can be the infinite amount of things that people are.”
— Kesha


 

Post a Comment

0 Comments